শপথ নিয়েই শহরের নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিধায়ক

10th May 2021 9:37 pm বর্ধমান
 শপথ নিয়েই শহরের নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিধায়ক


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  করোনা পজিটিভ না হওয়া সত্ত্বেও রোগী করোনা আক্রান্ত বলে জানিয়ে অর্থ উপার্জন করছে বর্ধমান শহর এবং শহর লাগোয়া নার্সিংহোম ও বেসরকারী হাসপাতাল গুলি ।  সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য অধিকারিক এর সঙ্গে দেখা করে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ জানালেন নবনির্বাচিত বর্ধমান দক্ষিনের বিধায়ক খোকন দাস।অবিলম্বে ওই সব বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের  জন্য তিনি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে দাবিও জানিয়েছেন ।বিধায়ক খোকন দাসের আনা এমন অভিযোগ শোরগোল ফেলে দিয়েছে বর্ধমানের বাসিন্দা মহলে ।  কোভিডের চিকিৎসার জন্যে নার্সিংহোম গুলি রোগী পরিবারের কাছ থেকে অত্যধিক টাকা নিচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে নড়ে চড়ে বসেন বিধায়ক খোকন দাস ।এই বিষয়ে এদিন তিনি  পূর্ব বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়কে চিঠি দেন। খোকন দাসের অভিযোগ ,“বর্ধমান শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অজশ্র নার্সিংহোম। এমনই কিছু  নার্সিং হোম করোনার চিকিৎসার নামে অনৈতিক ভাবে অর্থ উপার্জন করছে ।  এমনকি করোনা পজিটিভ না হওয়া সত্ত্বেও রোগী করোনা আক্রান্ত বলে জানিয়ে নার্সিংহোম ও বেসরকারী হাসপাতাল গুলি অর্থ উপার্জন করছে বলে  বিধায়ক খোকন দাস অভিযোগ করেছেন । 


বিধায়ক খোকন দাস তাঁর অভিযোগে আরও বলেন ,বর্ধমানের বেসরকারী হাসপাতাল  ও নার্সিংহোম গুলিতে করোনার চিকিৎসা কিছুই হচ্ছেনা। রোগীরা মারা যাচ্ছে । রোগী কোভিড আক্রান্ত না হলেও কোভিড আক্রান্ত  বলা হচ্ছে। এইসব কারচুপি করে লাগামছাড়া বিল করা হচ্ছে। এই ভাবে রোগী ও তাঁর পরিবারকে  ঠকানো মেনে নেওয়া যায়না। খোকনবাবু দাবি করেন ,দিনরাত তিনি এমন অভিযোগ পাচ্ছেন। নার্সিংহোম গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে তাই জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি করেছেন বলে খোকন দাস জানান ।  বিধায়কের অনা অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা  স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, ’বিধায়কের চিঠি পেয়েছি ।সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা জেলায়  যথেষ্ট ভাল। বেসরকারি ক্ষেত্রে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সে বিষয়ে শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।